আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সূত্রে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, কেউ যদি কোন ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে আর ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে ক্রীতদাসের ন্যায্য মূল্য নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং ক্রীতদাসটি তার পক্ষ হতে মুক্ত হয়ে যাবে, কিন্তু (সে পরিমাণ অর্থ) না থাকলে তার পক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে যতটুকু সে মুক্ত করেছে।”
আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মরফূ হিসেবে বর্ণিত, “তিন লোকের জন্য দ্বিগুণ বিনিময় রয়েছে: (১) আহলে কিতাবের যে ব্যক্তি তার নবীর উপর ঈমান এনেছে এবং মুহাম্মাদের উপরও ঈমান এনেছে। (২) যে ক্রীতদাস আল্লাহর হক আদায় করে এবং তার মালিকের হকও আদায় করে। (৩) যে তাঁ বাঁদীকে সুন্দরভাবে আদব-কায়দা শিক্ষা দিয়েছে এবং ভালোভাবে দীনি ইলম শিক্ষা দিয়েছে অতঃপর তাকে আযাদ করে বিয়ে করেছে, তার জন্যও দু’টি পুরস্কার রয়েছে।
ইবন ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফূ‘ সনদে হাদীস বর্ণিত, দাস যখন তার মনিবের কল্যাণকামী হয় এবং আল্লাহর ইবাদত সুন্দরভাবে করে তখন তার জন্য বিনিময় রয়েছে দুইবার। আবূ মূসা আল-আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু থেকে মারফূ‘ সনদে বর্ণিত: “যে দাস তার রবের ইবাদত সুন্দরভাবে করে এবং তার ওপর মনিবের পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে, তার কল্যাণকামী হয় ও আনুগত্য করে, তার জন্য রয়েছে দ্বিগুণ প্রতিদান।
মারুর ইবন সুওয়াইদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে দেখেছি, তার গায়ে একটি জামা এবং তার অনুরূপ জামা তার গোলামের গায়ে। আমি তাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছি, তিনি তখন বললেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে এক ব্যক্তিকে তার মায়ের কথা উল্লেখ করে তিরস্কার করেছিলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তুমি এমন ব্যক্তি যে, তোমার ভেতর জাহেলিয়াত রয়েছে। তারা তোমাদের ভাই ও অনুসারী, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীন করেছেন। অতএব, যার অধীনে তার ভাই থাকবে, সে তাকে তাই খাওয়াবে যা সে খায় এবং সে তাকে তাই পরাবে যা সে পরিধান করে। আর তাকে কাবু করে ফেলে এমন দায়িত্ব দিবে না, যদি তোমরা তাকে এরূপ দায়িত্ব দাও, তাকে সাহায্য কর।”