المقصدُ الثّالثُ: العِبَادَات

869 - (ق) عن أَنَسِ بْنِ مالِكٍ قالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلّى الله عليه وسلّم إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ، أَجِيءُ أَنَا وَغُلاَمٌ، مَعَنَا إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ. يَعْنِي: يَسْتَنْجِي بِهِ.

আনাস ইব্নু মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং ‘আনাযা’ (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন”।

872 - (خ) عَنْ أَبي هُرَيْرَةَ قَالَ: اتَّبَعْتُ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلّم، وخَرَجَ لِحَاجَتِهِ، فَكَانَ لاَ يَلْتَفِتُ، فَدَنَوْتُ مِنْهُ، فَقَالَ: (ابْغِنِي أَحْجَاراً أَسْتَنْفِضْ [1] بِهَا ـ أَوْ نَحْوَهُ ـ و َلاَ تَأْتِنِي بِعَظْمٍ، وَلاَ رَوْثٍ) ، فَأَتَيْتُهُ بِأَحْجَارٍ بِطَرَفِ ثِيَابِي، فَوَضَعْتُهَا إِلَى جَنْبِهِ، وَأَعْرَضْتُ عَنْهُ، فَلَمَّا قَضَى أَتْبَعَهُ بِهِنَّ.

873 - (ق) عن أَبِي قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلّم قَالَ: (إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَأْخُذَنَّ ذَكَرَهُ بَيَمِينِهِ، وَلاَ يَسْتَنْجِ بِيَمِينِهِ، وَلاَ يَتَنَفَّسْ فِي الإِنَاءِ) .

আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে তখন সে যেন তার পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে, ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে। আর (পান করার সময়) পানির পাত্রে যেন নিঃশ্বাস না ফেলে।”

[خ154، (153)/ م267]

878 - (م) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلّى الله عليه وسلّم قَالَ : (اتَّقُوا اللَّعَّانَيْنِ [1] ) ، قَالُوا: وَمَا اللَّعَّانَانِ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : (الَّذِي يَتَخَلَّى [2] فِي طَرِيقِ النَّاسِ، أَوْ فِي ظِلِّهِمْ) .

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত: “দুই অভিশাপকারী থেকে তোমরা সতর্ক থাকো। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল দুই অভিশাপকারী কি? তিনি বললেন, যে মানুষের চলাচলের রাস্তায় অথবা তাদের ছায়ায় পেশাব-পায়খানা করে”।

879 - (ق) عن أبي هُرَيْرَة: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلّى الله عليه وسلّم يَقُولُ : (لاَ يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي المَاءِ الدَّائِم الَّذِي لاَ يَجْرِي، ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ) .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত: “তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব না করে। (সম্ভবত) পরে সে আবার তাতে গোসল করবে।” অপর বর্ণনায় বর্ণিত: “তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে কখনো পেশাব না করে, যে অবস্থায় সে অপবিত্র।”

882 - (ق) عن عليٍّ قال: كُنْتُ رَجُلاً مَذَّاءً [1] ، فَاسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسْأَلَ رَسُولَ اللهِ صلّى الله عليه وسلّم، فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ : (فِيهِ الْوُضُوءُ) .

‘আলী ইব্নু আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার অধিক পরিমাণে ‘মযী’ বের হত। কিন্তু আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। কারণ, তার কন্যা আমার নিকট। তাই এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য মিকদাদকে বললাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তার লিঙ্গ ধৌত করবে এবং অযু করবে। সহীহ বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে, তোমার লিঙ্গ ধৌত কর এবং অযু কর। আর মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে তুমি অযু কর এবং তোমার লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দাও।

[خ178، (132)/ م303]

883 - (ق) عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ: أَنَّ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلّم قَالَ : (إِذَا أَتَيْتُمُ الغَائِطَ؛ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا، وَلكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا) .
قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: فَقَدِمْنَا الشَّامَ، فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ بُنِيَتْ قِبَلَ القِبْلَةِ، فَنَنْحَرِفُ، وَنَسْتَغْفِرُ الله تَعَالَى.

আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যখন তোমরা পায়খানা করতে যাও, তখন ক্বিবলার দিকে মুখ করবে না কিংবা পিঠও দিবে না, বরং তোমরা পূর্ব দিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো ক্বিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ তা‘আলার নিকট তাওবাহ ইসতিগফার করতাম।”

[خ394، (144)/ م264]