ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “মুসলিমের জন্য (তার শাসকদের) কথা শোনা ও মানা ফরয, সে যা পছন্দ করে বা যা পছন্দ করে না উভয় ক্ষেত্রে যতক্ষণ না পাপকাজের নির্দেশ দেয়, যখন পাপ কাজের আদেশ দেয়, তখন তার কথা শোনা ও মানা ফরয নয়।”
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে তো আল্লাহর আনুগত্য করল এবং যে আমার অবাধ্যতা করল, সে তো আল্লাহর অবাধ্যতা করল। আর যে ব্যক্তি নেতার আনুগত্য করবে, সে তো আমার আনুগত্য করল এবং যে নেতার অবাধ্যতা করবে, সে তো আমার অবাধ্যতা করল।”
মা‘কাল ইবন ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “কোনো বান্দাকে আল্লাহ তা‘আলা কোনো প্রজার ওপর শাসক বানালে, যেদিন সে মরবে সেদিন যদি সে প্রজার প্রতি ধোঁকাবাজি করে মরে, তাহলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন।”
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে মারফ‘ হিসেবে বর্ণিত: “আমার পরে অন্যায়ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং অনেক কাজ হবে যেগুলোকে তোমরা মন্দ জানবে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে কী আদেশ দিচ্ছেন?’ তিনি বললেন, “যে দায়িত্ব তোমাদের আছে, তা তোমরা পালন করবে এবং যে অধিকার তোমাদের পাওনা আছে তা তোমরা আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নেবে।”
যুবাইর ইবন আদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমরা আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর নিকটে এলাম এবং তাঁর কাছে হাজ্জাজের অত্যাচারের অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, ‘তোমরা ধৈর্য ধারণ কর। কারণ, এখন যে যুগ আসবে তার পরবর্তী যুগ ওর চেয়ে খারাপ হবে, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,) ‘এ কথা আমি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে শুনেছি।’
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আনুগত্যতা থেকে বের হয়ে গেল এবং জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং এ অবস্থায় মারা গেল সে জাহিলি মৃত্যু বরণ করল। যে ব্যক্তি কোন অন্ধ ঝান্ডার অধীনে জাতিগত কারণে যুদ্ধ অথবা জাতির দিকে আহবান করে অথবা জাতিকে সাহায্য করে নিহত হয়, তার মৃত্যু জাহিলি মৃত্যু। আর যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের বিপক্ষে অস্ত্র ধরলো এবং ভালো ও খারাপ লোকদের হত্যা করল, মুমিনের কোন পরোয়া করল না এবং প্রতিশ্রুতি ওয়ালার প্রতিশ্রুতি পূরণ করল না। সে আমার থেকে নয় আর আমিও তার থেকে নই।“