الكتاب الرابع: ما جاء في البيوت

2930 - (ق) عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلّى الله عليه وسلّم: (لَوْ أَنَّ امْرَأً اطَّلَعَ عَلَيْكَ بِغَيْرِ إِذْنٍ، فَحَذَفْتَهُ بِحَصَاةٍ، فَفَقَأْتَ عَيْنَهُ، لَمْ يَكُنْ عَلَيْكَ جُنَاحٌ) .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “যদি কোনো পুরুষ অথবা বলেছেন কোনো ব্যক্তি তোমার অনুমতি ব্যতীরেকে তোমার দিকে উঁকি মারে আর তুমি তার প্রতি কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু উপড়ে ফেলো, এতে তোমার কোন অপরাধ হবে না।”

[خ6902 (6888)/ م2158]

2931 - (ق) عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخدْرِيِّ قَالَ: كُنْتُ في مَجْلِسٍ مِنْ مَجَالِسِ الأَنْصَارِ، إِذْ جَاءَ أَبُو مُوسى كَأَنَّهُ مَذْعُورٌ، فَقَالَ: اسْتَأْذَنْتُ عَلَى عُمَرَ ثَلاَثاً، فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي فَرَجَعْتُ، فَقَالَ: ما مَنَعَكَ؟ قُلْتُ: اسْتَأْذَنْتُ ثَلاَثاً فَلَمْ يُؤْذَنْ لِي فَرَجَعْتُ، وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلّى الله عليه وسلّم: (إِذَا اسْتَأْذَنَ أَحَدُكُمْ ثَلاَثاً، فَلَمْ يُؤْذَنْ لَهُ؛ فَلْيَرْجِعْ) . فَقَالَ: وَاللهِ لَتُقِيمَنَّ عَلَيْهِ بَيِّنَةً، أَمِنْكُمْ أَحَدٌ سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ صلّى الله عليه وسلّم؟ فَقَالَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ: وَاللهِ لاَ يَقُومُ مَعَكَ إِلاَّ أَصْغَرُ الْقَوْمِ، فَكُنْتُ أَصْغَرَ الْقَوْمِ، فَقُمْتُ مَعَهُ، فَأَخْبَرْتُ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلّم قَالَ ذلِكَ.

[خ6245 (2062)/ م2153]

2934 - (م) عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللهِ صلّى الله عليه وسلّم عَنْ نَظَرِ الْفُجَاءَةِ، فَأَمَرَنِي أَنْ أَصْرِفَ بَصَرِي.

জারীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (অপরিচিত নারীর প্রতি) হটাৎ দৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন, “তুমি তোমার দৃষ্টিকে ফিরিয়ে নাও।”

2939 - (خ) عَنْ قيسِ بْنِ أَبِي حازمٍ قَالَ: أَتَيْتُ خَبَّاباً، وَهُوَ يَبْنِي حائِطاً لَهُ، فَقَالَ: إِنَّ أَصْحَابَنَا الَّذِينَ مَضَوْا لَمْ تَنْقُصْهُمُ الدُّنْيَا شَيْئاً، وَإِنَّا أَصَبْنَا مِنْ بَعْدِهِمْ شَيْئاً، لاَ نَجِدُ لَهُ مَوْضِعاً إِلاَّ التُّرَابَ.

কাইস ইবন আবী হাযেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা অসুস্থ খাব্বাব ইবন আরাত্ত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে দেখতে গেলাম। তখন তিনি (চিকিৎসার জন্যে) শরীরে সাতটি ছেঁকা দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমাদের সাথীরা যারা (পূর্বেই) মারা গেছেন তাঁরা এমতাবস্থায় চলে গেছেন যে, দুনিয়া তাদের আমলের সওয়াব কমাতে পারে নি। আর আমরা এমন (সম্পদ) লাভ করেছি, যা মাটি ছাড়া অন্য কোথাও রাখার জায়গা পাচ্ছি না। যদি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে মৃত্যু-কামনা করতে নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি মৃত্যুর জন্য দো‘আ করতাম।’ (কাইস বলেন) অতঃপর আমরা অন্য এক সময় তাঁর কাছে আসলাম। তখন তিনি তাঁর (বাড়ির) দেয়াল তৈরি করছিলেন। তিনি বললেন, ‘মুসলিম ব্যক্তিকে তার সকল প্রকার ব্যয়ের ওপর সাওয়াব দান করা হয়, তবে এ মাটিতে ব্যয়কৃত জিনিস ব্যতীত।’

2940 - (ق) عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلّى الله عليه وسلّم يَقُولُ: (لاَ تَلْبَسُوا الحَرِيرَ، وَلاَ الدِّيباجَ، وَلاَ تَشْرَبُوا في آنِيَةِ الذهَبِ وَالْفِضَّةِ، وَلاَ تَأْكُلُوا في صِحَافِهَا، فَإِنَّهَا لَهُمْ في الدُّنْيَا، وَلَنَا في الآخِرَةِ) .

হুজাইফা ইবন আল-ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “তোমরা রেশম বা রেশম জাত কাপড় পরিধান করো না এবং সোনা ও রূপার পাত্রে পান করো না এবং এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা পৃথিবীতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য”।